Shop

Before Start

Tech TV

টেক ভিডিও

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ুন

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ুন

আপনি হয়তো জানেন যে, বাংলাদেশের অনেক গ্রাফিক ডিজাইনার ফ্লোর প্ল্যান ডিজাইন করে মাসিক ভালো আয় করেন। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রঙ ও অক্ষরে লেখা বিজ্ঞাপন সম্বলিত অনেক ব্যানার ও বিলবোর্ড। এই সৃজনশীল কাজটিকে বলা হয় গ্রাফিক ডিজাইন, এবং যারা এটি করেন তাদের বলা হয় গ্রাফিক ডিজাইনার।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ডিজাইন তৈরি করতে আপনার ধারনা, শিল্প এবং দক্ষতা ব্যবহার করেন। এটি মূলত বিভিন্ন ধরনের ছবি, লোগো, ব্রোশিওর, অ্যানিমেশন এবং অন্যান্য ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে।

গ্রাফিক ডিজাইনাররা প্রায়ই একটি প্রকল্পের জন্য একটি টেমপ্লেট তৈরি করে এবং তারপর এটি ডিজাইন করতে ব্যবহার করে। গ্রাফিক ডিজাইন একটি সৃজনশীল পেশা যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সুন্দর এবং প্রভাবশালী ডিজাইন তৈরি করে।

কি জানা লাগবেঃ

আপনার গ্রাফিক ডিজাইনার স্নাতক হওয়ার দরকার নেই, তবে ইংরেজিতে দক্ষতা আপনাকে এতে আরও ভাল করে তুলবে। যেহেতু ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা, আপনি এই ভাষার মাধ্যমে যেকোনো দেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এর পাশাপাশি, আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার পরিচালনা করতে হবে, অর্থাৎ আপনার প্রাথমিক কম্পিউটিং জ্ঞান থাকতে হবে। যেহেতু এটি অনলাইন কাজ, এটির একটি নেটওয়ার্ক থাকতে হবে এবং ডিজাইনের জন্য অ্যাডোবি ফটোশপ, অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর, অ্যাডোব ইন ডিজাইন এবং অন্যান্য ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার প্রয়োজন।

কিভাবে শিখবেনঃ

* ভালো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়া।
* প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারের অধীনে কাজ করা।
* অন্যের কাজ অনুসরণ করা।
* অনলাইনে সার্চ করা।
* মানসম্মত টিউটোরিয়াল দেখা।
* ভাল সফটওয়্যার দিয়ে ডিজাইন শিখা।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্রঃ

যে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণার জন্য দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিকল্প নেই। তাই সব সময় ডিজাইনারকে কাজ
করতে হয় মানুষের বয়স, আচার-আচরণ, পেশা, চাহিদা প্রভৃতি দিকগুলো বিবেচনা করে।যেহেতু গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের
ক্ষেত্র বিস্তৃত। তবে বিশেষভাবে যে কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি, তা নিচে দেয়া হলঃ

১। লোগো ডিজাইন ২। ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন ৩। ওয়েবসাইট পিএসডি টেম্প্লেট ডিজাইন ৪। ওয়েব ব্যানার ডিজাইন
৫। বুক কভার ডিজাইন ৬। টি-শার্ট ডিজাইন ৭। পোস্ট কার্ড ডিজাইন ৮। বিজ্ঞাপন ডিজাইন ৯। আইকোন ডিজাইন
১০। ডিজিটাল ইমেজ প্রসেসিং ১১। ব্রুশিয়ার ডিজাইন ১২। মোবাইল অ্যাপ/ইউআই ডিজাইন ইত্যাদিসহ আরো অনেক
কাজ পাওয়া যায়।

লোগো ডিজাইনঃ

লোগো হচ্ছে একটি কোম্পানির পরিচয় বা ব্র্যান্ড। লোগোর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে চেনা যায় খুব সহজেই। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ড
অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল কিংবা ফেইসবুক এবং বাংলাদেশের ব্র্যান্ড আড়ং, গ্রামীণফোন কিংবা প্রাণ শুধুমাত্র তাদের লোগো দেখেই
চিনতে পারা যায়। মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন লোগো কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকেই তৈরি করতে হয়। লোগো যেমন লোকাল
বিজনেসে প্রয়োজন হয় তেমনি তা অনলাইনেও বহুল চাহিদা সম্পন্ন একটি বিষয়।

ওয়েব ডিজাইনঃ

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে অনলাইন বিপ্লবের এই যুগে ওয়েবসাইটের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন এমনকি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও অনেকে তৈরি করতে চান। আর ব্যবসার প্রসারে ওয়েবসাইট অতি প্রয়োজনীয় একটি হাতিয়ার। ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুদৃশ্য বাটন তৈরি, ব্যানার তৈরি, ইমেজ এডিটিং, আইকন তৈরি প্রভৃতি কাজ করা ছাড়াও একজন গ্রাফিক ডিজাইনার পিএসডি টেম্পলেটের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ ওয়েব সাইটের আর্কিটেকচার তৈরি করতে পারেন।

ভিজিটিং কার্ড তৈরিঃ

ডিরেক্ট মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং এর জন্য ভিজিটিং কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়েরই পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য ভিজিটিং কার্ড জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ভিজিটিং কার্ডের পরিসর ছোট হওয়ার কারণে এখানে ডিজাইন করতে হয় সুন্দরভাবে যাতে সংক্ষেপে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফুটিয়ে তোলা যায়। ভিজিটিং কার্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। লোকাল মার্কেটেই শুধু নয়, অনলাইনেও আপনার ডিজাইনকৃত ভিজিটিং কার্ড সেইল করে আয় করতে পারবেন।

এর বাইরেও ব্রশিয়র ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন সহ রয়েছে আরও অনেক ক্ষেত্র। শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে শুরু করতে পারেন ডিজাইনার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার।

কোথায় জব পাবেনঃ

– বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
– পত্রিকা/ম্যাগাজিন/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
– অনলাইন মার্কেট প্লেইস
– প্রিন্টিং এবং ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান
– ওয়েব ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠান

গ্রাফিক্স সম্পর্কিত আউটসোর্সিং কাজের ওয়েবসাইটঃ

গ্রাফিক্স প্রতিযোগীতাঃ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে সবাই ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন সাবমিটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে এবং যে বিজয়ী হয়, সে ঐ প্রতিযোগিতার নির্ধারিত অর্থ পায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতা হয় এমন

উল্লেখ যোগ্য সাইট হচ্ছেঃ
www.99designs.com
www.freelancer.com/contest
https://www.logodesignguru.com/
https://www.48hourslogo.com/
http://www.hatchwise.com/
https://logotournament.com/
https://www.logomyway.com/
https://www.crowdspring.com/

ডিজাইন বিক্রিঃ

আবার কিছু কিছু সাইট আছে, যেখানে আপনার তৈরি বিভিন্ন আইটেম আপলোড করে রাখবেন এবং সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ
www.graphicriver.net
www.creativemarket.com
www.codegrape.com
www.designcrowd.com
www.freelancer.com/marketplace

বিড করে কাজ :

আবার কিছু কিছু সাইট আছে, যেখানে ক্লাইন্টের জবে বিড করে কাজ করা যায়। যেমনঃ
www.upwork.com
www.freelancer.com
www.peopleperhour.com
www.guru.com

অন্যান্যঃ

উপরে উল্লেখিত সাইট গুলো ছাড়াও আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকেও প্রচুর গ্রাফিক্সের কাজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছেঃ www.fiverr.com
যেসব বিষয়ে আপনাকে যত্নবান হতে হবেঃ

-> অবশ্যাই ভালভাবে কাজ শেখা।
-> নিজে থেকে কিছু করার চেষ্টা করা (ক্রিয়েটিভিটি)
-> নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখা
-> প্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারদের কাজ অনুসরণ করা
-> কাজের স্যাম্পল টেম্পলেট/ পোর্টফলিও তৈরি করে রাখা
-> প্রতিদিন ডিজাইন করা
-> নিজের মার্কেটিং করা

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি তিনটি মাধ্যমে শিখতে পারেন। ইন্টারনেটে টিউটরিয়াল দেখে দেখে অথবা ভাল কোন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছ থেকে অথবা ভাল কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিতে পারেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন অনেক বেশি ইফেক্টিভ,কারন সেখানে কাজ শেখানোর পাশাপাশি কাজ কি আসলেই শিখতেছে কি না তাও দেখা হয়, অবশ্যই তা যদি ভালো ও নির্ভরযোগ্য প্রতিস্থান হয়ে থাকে।

একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার কেমন আয় করেন?

আয়ের বিষয়টি সম্পুর্ণ নির্ভর করে স্কিল এবং অভিজ্ঞতার উপর, একজন নতুন গ্রাফিক ডিজাইনার যেমন আয় করে একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার
চেয়ে কয়েকগুন বেশি আয় করে। সাধারণত একজন নতুন (৬মাস-১বছর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন) ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রতি ঘন্টায়
১০/২০ ডলার রেটে কাজ করেন এবং মাসে এভারেজ ২০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন। একজন কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডিজাইনার প্রতি
ঘন্টায় ২০/৬০ ডলার বা তার চাইতে বেশি টাকা আয় করতে পারেন মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন, বাংলাদেশে অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যারা প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন।

যারা এখনো ভাবছেন কি করা যায়, দ্বিধা-দ্বন্দে দিন কাটাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে শুরু করে দিন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজ। দেশে বিদেশে আপনার জন্য কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত। উচ্চমানের চাহিদা সম্পন্ন একটি প্রফেশন হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ
স্থির চিত্র (Still Image Graphics)
চলন্ত ছবি (Motion Graphics)

স্থির চিত্র গ্রাফিক্সের ৩টি ধরন আছেঃ

রাস্টার ইমেজ (Raster Image) – পিক্সেল বেসিস
ভেক্টর ইমেজ (Vector Image) – পিক্সেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট
টাইপোগ্রাফি (Typography)

চলন্ত ছবি বা মোশন গ্রাফিক্সের আবার রয়েছে ২টি প্রকারঃ

এনিমেশান গ্রাফিক্স (Animation Graphics)
ভিডিও গ্রাফিক্স (Video Graphics)
ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন ~

আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বেছে নেন আপনার সামনে রয়েছে অপার কিছু সম্ভাবনা। যেমনঃ

সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র

বর্তমান এই অনলাইন এবং প্রযুক্তির জগতে ভিজুয়্যাল কমিউনিকেশনে দক্ষতা আপনাকে খুলে দিবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। গ্রাফিক্স ডিজাইন অনলাইন জগতের এক বিশাল সম্ভাবনার ভান্ডার এবং এতে অভিজ্ঞ ব্যক্তির চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে গড়ার অন্যতম মাধ্যম গ্রাফিক্স ডিজাইন।

সৃজনশীল পেশা

ডিজাইন হল এক ধরনের সৃজনশীল কাজ। আপনি যদি সৃজনশীল কোন কাজকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। এই কাজে আপনি আপনার ভিতরের সৃজনশীলতা কে ভাল ভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। আপনার সৃজনশীল চিন্তা শক্তির পুরো প্রয়োগ করে নিজেকে আরও উন্নত করতে পারবেন।

নিজের মত কাজ করার সুবিধা

গ্রাফিক্স ডিজাইনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার আরও একটি অন্যতম কারন হতে পারে নিজের স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ। আমাদের দেশের যে গতানুগতিক অফিসের নিয়ম আপনি পাবেন সে নিয়মের বাহিরে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ। অর্থনৈতিক ভাবে দেশের অবস্থা খারাপ ভাল যায় হোক না কেন আপনি এ সময়গুলোতে সাধারণ কাজ বা প্রোজেক্টের বাইরে গিয়ে নিজের মতো কাজ করার সুযোগ পাবেন।

সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুযোগ

আগেই বলেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার হিসেবে নিলে নিজের স্বাধীন মত কাজ করার একটা সুযোগ রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রতিষ্ঠানভেদে প্রায় সব ধরণের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুযোগ থাকে। আজকাল ছোট-বড় প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই কার্যকর ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। এই পেশায় তাই বিভিন্ন ধরণের ক্লায়েন্ট ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে কি কি প্রয়োজন?

আপনি যদি প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সংকল্প নেন তা হলো আপনাকে এর পেছনে দিতে হবে যথেষ্ট সময়, শ্রম ও ধৈর্য। তার পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার আর টুল সম্পর্কে জানতে হবে। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল ধৈর্য। আপনাকে অনেক ধৈর্য নিয়ে কাজ শিখতে হবে এবং  ধৈর্যর সাথে এই স্কিল গুলা আপনার মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে-

কালার প্যালেট সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে।
ফ্রন্ট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
ডিজাইনিং সফটওয়্যার এবং টুলের ব্যবহারে পারদর্শীতা হতে হবে।
নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

বেসিক কিছু ডিজাইনিং সফটওয়্যার আর টুল রয়েছে যার ব্যবহার আয়ত্ত করতে কাজের দক্ষতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে তার মধ্যে রয়েছে-

Adobe Photoshop
Adobe Illustrator
Adobe Premiere Pro
Adobe After Effects

উপরের এই সফটওয়্যার গুলার ব্যবহার যদি সঠিক ভাবে নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে নিজেকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

কি কি কাজ করতে হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের?

তার আগে জেনে রাখা ভাল যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক সেক্টর। তার মানে এই না যে আপনাকে সব সেক্টর বা ব্যাপার গুলাতে এক সাথে কাজ করতে হবে। তবে কোন এক সময় আপনাকে হয়ত এই কাজ গুলা করতে হতে পারে তাই আগে থেকে জানা থাকা ভাল। এবং এগুলো নিয়ে ধারণা থাকলে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে যেকোন ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে পারবেন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করতে হলে কি কি ধরনের কাজ জানতে বা করতে হতে পারে তার একটা ধারনা নিচে দেয়া হলঃ

টি-শার্ট এবং জামা কাপড়ের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন
ডিজিটাল গ্রাফিক্স (digital graphics) ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন (digital advertisement) তৈরি
ওয়েব ডিজাইনিং (web designing) ও মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন
ব্লগসাইটের জন্য কভার বা ইমেজ ডিজাইন
সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক ডিজাইন
ফটো এডিটিং / রিটাচিং
কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের লোগো তৈরি
বই, অ্যালবাম, ম্যাগাজিনের কভার ডিজাইন
সাইনবোড, বিলবোর্ড, ব্যানার বিজ্ঞাপন (banner advertisement) তৈরি
প্রিন্ট অ্যাড (print advertisement) ডিজাইন
পণ্যের মোড়ক (packaging) ডিজাইন
টিভি নিউজ বা প্রোগ্রাম চলাকালীন গ্রাফিক্স ও টাইটেল ডিজাইন
কার্ড, ব্রোশিয়র (brochure), ইনফোগ্রাফিক্স (infographics) ডিজাইন
ভিজিটিং কার্ড, Employee কার্ড ডিজাইন
Flayer ডিজাইন
ইত্যাদি আর অনেক অনেক টাইপের কাজ আছে!!!

আর একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাইলে আপনার এইসব ব্যাপারে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। আর তাই এই সবকিছু মাথায় রেখে আমরা আপনাদের জন্য তৈরি করেছি কমপ্লিট গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স। যেখানে গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য সফটওয়্যার ইন্সটল দেয়া থেকে শুরু করে, স্টেপ-বাই-স্টেপ প্রজেক্ট ভিত্তিক অসংখ্য প্রজেক্ট করে দেখানো হয়েছে। যা প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে যেকেও নিজেকে এক্সপার্ট গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে নিজেকে যোগ্য হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে। কোর্সের লিঙ্ক চেক করুন, কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যঃ https://www.msbacademy.com/course/graphic-design-mastery

এছাড়া কোর্সে এনরোল করা প্রত্যেক স্টুডেন্টদের জন্য থাকবে এই প্রাইভেট ফেসবুক গ্রুপ। যেখানে ডিজাইন সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার সমধান স্টুডেন্টরা ইন্সট্রাকটরের কাছ থেকে পাবে। যা নতুনদের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে হেল্প করবে।

বর্তমান চাকরির বাজারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে আয়ের সুযোগ

যেহেতু এখন প্রযুক্তির সময়। প্রযুক্তির এই সময়ে সব কিছুতে একটা বিশাল পরিবর্তন চলে এসে সেই সাথে প্রতিষ্ঠান গুলার মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপনে চলে এসে কিছুটা পরিবর্তন। বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ পাচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী ব্যক্তি। দেশি-বিদেশী সংস্থার ইন-হাউস গ্রাফিক ডিজাইনার ছাড়াও কাজের সুযোগ আছে – অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি, প্রিন্টিং হাউজ, ব্র্যান্ড এজেন্সি, বই ও ম্যাগাজিন-পত্রিকার পাবলিশিং হাউস, মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি, টেলিভিশন ও ব্রডকাস্টিং কোম্পানি ও প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি সহ নানান ক্ষেত্রে।

ইনকামের পরিমাণ

কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে মার্কেটপ্লেসগুলোতে পারিশ্রমিকের পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে। যে কাজগুলো কম সময়ে ও কম পরিশ্রমে করা যায়, যেমন ব্যানার ও ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন এই ধরনের কাজের জন্য সাধারণত ১২ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে থাকেন। মাঝারি ধরনের কাজের জন্য ১৫ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত নির্ধারণ করে থাকেন। আর বড় প্রজেক্টের জন্য ৩০ থেকে ৫০ হাজার বা তার বেশিও পাওয়া সম্ভব। তবে ক্রমান্বয়ে চাকরির পদোন্নতির সাথে সাথে আয়ের সুযোগও বাড়তে থাকে। তবে সেজন্য আগে ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়। আপনি যত বেশি অভিজ্ঞ হবেন আপনার ইনকাম তত বেশি বাড়বে।

বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বীতার বাজারে একটি পেশায় টিকে থাকলে হলে নিজেকে সবার থেকে আলাদা কিছু দিতে হবে। এবং নিজের সৃজনশীলতাকে সবার সামনে সেই ভাবেই প্রকাশ করতে হবে। তবে প্রযুক্তির এই সময়ে সৃজনশক্তির অধিকারী ব্যাক্তিরা এক্ষেত্রে স্বভাবতই একধাপ এগিয়ে থাকবেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 

Learn graphic design and build a career in freelancing

Facebook
Twitter
WhatsApp
Email

সাইট সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইভ করুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ