কেউ যখন কাউকে প্রশ্ন করে যে কোন ল্যাপটপটি সবচেয়ে ভালো, তখন প্রায়শই এই কথা শোনা যায় যে এই প্রশ্নের কোন পরিষ্কার উত্তর নেই। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরণের ল্যাপটপ আছে যেগুলো একটি আরেকটি থেকে দামে এবং কনফিগারেশনে সম্পুর্ণ আলাদা। ল্যাপটপ কেনার সময় যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা দরকার সেগুলো হলঃ (নিচের ভিডিও থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন অথবা পুরো পোস্টটি পড়তে পারেন। যেটা আপনার ভাল মনে হয় 😍 )
প্ল্যাটফর্ম
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন প্ল্যাটফর্মের ল্যাপটপ কিনবেন। বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেমন, উইন্ডোজ ল্যাপটপ, অ্যাপল ল্যাপটপ, এবং গুগলের ক্রোমবুক। এছাড়া অনেক কোম্পানি লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম যেমন উবুন্টু প্রি-ইনস্টল করা ল্যাপটপও বিক্রি করে। উইন্ডোজ এবং লিনাক্স ভিত্তিক ওএস আপনি একই ল্যাপটপে চালাতে পারবেন। তবে অ্যাপলের ম্যাকবুক এবং গুগলের ক্রোমবুক ল্যাপটপে অন্য অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা একটু জটিল।
প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সহজ হবে উইন্ডোজ ভিত্তিক ল্যাপটপ অথবা অ্যাপলের ম্যাকবুক ল্যাপটপ বেছে নেয়া। উইন্ডোজ ল্যাপটপের তুলনায় অ্যাপল ম্যাকবুকের দাম অনেক বেশি। সবচেয়ে কম ক্ষমতার সাম্প্রতিক মডেলের ম্যাকবুকের দাম ১ লাখ টাকার মত হতে পারে। এই দামে আপনি উইন্ডোজ ল্যাপটপ কিনলে অনেক ভাল কনফিগারেশন পাবেন।
আপনি যদি উইন্ডোজ ল্যাপটপ কেনেন তাহলে আপনার সামনে প্রচুর অপশন থাকবে। আপনি বাজেট অনুযায়ী অনেক ব্র্যান্ড ও মডেল থেকে আপনার জন্য সঠিক ল্যাপটপ বাছাই করতে পারবেন। ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আপনার ইচ্ছে মত বাজেটে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। এই পুরো ভিডিওটি দেখলে আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।
তবে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আপনি যদি অ্যাপলের নতুন ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে আপনার বাজেট দেড় লাখ টাকা হলে আপনি মোটামুটি ভাল ক্ষমতার ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। এর চেয়ে কম বাজেট হলে সেগুলোতে প্রসেসর, র্যাম, স্টোরেজের সীমাবদ্ধতা থাকবে। সেগুলো দিয়ে ভারি কাজ করা কঠিন হবে। আর অ্যাপলের ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনার হাতে চয়েস কম থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনার বাজেট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।
আকার
ল্যাপটপ কেনার সময় আপনার মুখ্য বিষয় হয় যদি বহন করা, তাহলে এর আকার আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যেসকল ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ ১৪ ইঞ্চির মধ্যে থাকে সেগুলোর ওজন ১ থেকে ১.৫ কেজির মধ্যে থাকে। তবে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় পাতলা ল্যাপটপ পাবেন না। যেকোনো কাজ করার জন্য ১৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপ সুবিধাজনক হবে। তবে আপনার কাজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের উপর নির্ভর করবে আপনার কতবড় স্ক্রিনের ল্যাপটপ কেনা উচিত।
স্ক্রিনের মান
যেহেতু ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে আপনাকে সবসময় তাকিয়ে থাকতে হবে, তাই এমন স্ক্রিনের ল্যাপটপ কেনা উচিত যাতে স্ক্রিনটি আপনার সাথে খাপ খাইয়ে যায়। স্ক্রিনের আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এর রেজুলুশন কত তা দেখে ল্যাপটপ কেনা। এক্ষেত্রে ফুল এইচডি, অর্থাৎ ১৯২০x১০৮০ পিক্সেল এর স্ক্রিন সচরাচর কাজের জন্য আদর্শ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এবং কেনার সময় অবশ্যই একবার ল্যাপটপটি চালিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। দোকানের ডিসপ্লেতে আপনি স্যাম্পল ল্যাপটপ পেতে পারেন। স্ক্রিন যদি আলো প্রতিফলন না করে তবে সেটা যেকোনো স্থানে চালানোর জন্য ভাল হবে।
সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স
বাজারে এখন ইন্টেলের কোর আই সিরিজের সিপিইউ/প্রসেসরগুলো দারুণ চলছে। সাধারণ হিসেবে কমপক্ষে কোর আই ৭ প্রসেসর সম্বলিত ল্যাপটপগুলো কেনা ভালো। বাজেট মাঝামাঝি হলে কোর আই ৫ বা কোর আই ৩ প্রসেসরের ল্যাপটপও নিতে পারেন।
আরেকটি জনপ্রিয় প্রসেসর ব্র্যান্ড হচ্ছে এএমডি’র রাইজেন। যে কোম্পানির প্রসেসরযুক্ত ল্যপটপই নেন না কেন, চেষ্টা করবেন লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর নিতে। ইনটেলের ক্ষেত্রে গত ৩ জেনারেশন পর্যন্ত পুরানো প্রসেসর নিতে পারেন, যদি আপনার বাজেট খুব সীমিত হয়। তবে এএমডির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক জেনারেশন পর্যন্ত পেছনের প্রসেসর নিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আবারও বলছি, লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর নেয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা, লেটেস্ট জেনারেশনের ওভারঅল পারফরমেন্স সবচেয়ে ভাল হয়ে থাকে।
👉 উইন্ডোজ পিসি নাকি অ্যাপলের ম্যাক? কোনটি কিনবেন?
আপনি যদি সচরাচর গ্রাফিক্স বা ভিডিও এডিটিং না করেন, ও ভারী গেম না খেলেন তাহলে ল্যাপটপে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড না থাকলেও চলবে। আর আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজ করেন ও হাই-এন্ড গেমস খেলেন, তাহলে গ্রাফিক্স চিপ দরকার হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাজেট ৭০ হাজারের বেশি হতে হবে।
যদি অ্যাপল ল্যাপটপ কেনেন তাহলে অ্যাপলের নিজস্ব এম সিরিজের প্রসেসর নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার বাজেট অনুযায়ী সহজেই একটি ম্যাকবুক বেছে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, হালকা থেকে মাঝারি কাজের জন্য ম্যাকবুক এয়ার যথেষ্ট। আর ভারি কাজের জন্য নিতে হবে ম্যাকবুক প্রো।
র্যাম
স্বাভাবিকভাবে সচরাচর কাজ করতে অবশ্যই ৪ জিবি অথবা তার থেকে বেশি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে। বর্তমানে কম্পিউটারে অন্তত ৪ জিবি র্যাম থাকা উচিত। তবে ৮জিবি র্যাম থাকলে ভাল হয়। গেমিং, গ্রাফিক্স ও ভিডিও এডিট করতে গেলে ১৬ জিবি র্যামের ল্যাপটপ নিতে পারেন। র্যাম আরও বেশি হলে উত্তম হবে।
স্টোরেজ
ল্যাপটপের স্টোরেজ বেশি দেখে কেনা উচিত যাতে করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণের জন্য জায়গার অভাবে ভুগতে না হয়। ৭৫০ জিবি স্টোরেজ স্পেস হতে পারে আদর্শ। প্রচলিত হার্ডডিস্ক সময়ের সাথে স্লো হয়ে যায়। আপনি যদি বাজেট একটু বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে হার্ডডিস্কের বদলে এসএসডি স্টোরেজ নিতে পারেন। এসএসডি স্টোরেজ ব্যবহার করলে আপনার ল্যাপটপের গতি অনেক বেশি পাবেন।
👉 এসএসডি স্টোরেজ নাকি হার্ড ডিস্ক – কম্পিউটারে কোনটি ভাল হবে?
ব্যাটারি
ল্যাপটপের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট দেখে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এটা বিভিন্ন হতে পারে। তবে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাকআপ হলে ভাল হয়। অনেক ল্যাপটপে এর চেয়ে বেশি ব্যাকাপ পেতে পারেন।
কিবোর্ড
ক্রেতা যে ধরণের কি বোর্ডের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাকে অবশ্যই সেই কি বোর্ড সম্বলিত ল্যাপটপটি কিনতে হবে। কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত যে কিবোর্ডটিতে বিল্টইন ব্যাকলাইট আছে কিনা। লাইটের ব্যবস্থা থাকলে অন্ধকারেও ল্যাপটপের বোতাম গুলো দেখা যায়। মাঝারি দামের ল্যাপটপের কিবোর্ডেও আজকাল ব্যাকলাইট থাকে। তবুও এটা খেয়াল করে নিশ্চিত হয়ে নিন।
👉 পুরাতন কম্পিউটার কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন
কানেকটিভিটি এবং পোর্ট
ল্যাপটপে এখন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ দেয়াই থাকে। আপনি চাইলে এগুলোর লেটেস্ট স্ট্যান্ডার্ড আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে পারেন। ল্যাপটপে অনেক সময় এসডি কার্ড লাগানোর দরকার পড়ে। এজন্য ল্যাপটপের সাথে এসডি কার্ডের পোর্ট আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত। ইউএসবি ৩ পোর্ট এর মাধ্যমে ইউএসবি ২ এর তুলনায় দ্রুত গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়। এজন্য ল্যাপটপের পোর্টগুলো ইউএসবি ৩ কিনা তা দেখে নিন।
অবশ্য বর্তমানে অধিকাংশ ল্যাপটপেই ইউএসবি ২ এবং ইউএসবি ৩ পোর্ট থাকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আপনার যেসব পোর্ট দরকার সেগুলো আছে কিনা তা যাচাই করুন। যেমন আপনি যদি ফটোগ্রাফার হন তাহলে আপনার এসডি কার্ড রিডার দরকার হতে পারে। বাড়তি মনিটরের জন্য এইচডিএমআই পোর্ট কাজে লাগবে। মোটকথা আগে নিজে সিদ্ধান্ত নিন আপনার কোন্ ধরনের পোর্ট দরকার হবে। সে অনুযায়ী যাচাই বাছাই করুন।
👉 ভিডিওঃ ল্যাপটপ কেনার সময় যা খেয়াল রাখতে হবে
এই সকল বিষয় যদি বাজেটের সাথে মেলে তাহলে সবচেয়ে সুবিধাজনক ল্যাপটপটি কেনা উচিত। তবে সবসময় বাজেট নাও মিলতে পারে। এজন্য যেকোন একটি বিষয়ে ক্রেতাকে ছাড় দিতে হতে পারে।
second source
গত কয়েক বছরে ল্যাপটপের নকশা ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ বেছে নেওয়াটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতে পারে।
টাচস্ক্রিন
আপনি যদি টাচ বা স্পর্শ করে পণ্য চালাতে পছন্দ করেন, তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উইন্ডোজ ৮ ইন্টারফেসের টাইল ও জেশ্চার আপনার টাচস্ক্রিন অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে এবং তা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপগুলোতে ওয়েব পেজ ব্যবহার করা সহজ। এ ছাড়াও ছবি ও ডকুমেন্টস দেখতেও সুবিধা হয়। টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনি কিবোর্ডযুক্ত ল্যাপটপ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে টাচস্ক্রিন সুবিধার ল্যাপটপ পাবেন। সাধারণত সিনেমা দেখা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করাসহ ছোটখাটো কাজের জন্য কম দামের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে ১৫ ইঞ্চি পর্দার মনিটরসহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
নকশা ও ওজন
আপনি যদি বেশি বেশি ভ্রমণ করেন তখন আপনার জন্য হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক ভালো হবে। ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি মাপের যে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে সেটি কিনবেন। যদি বাড়ি বা অফিসের কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তবে ১৪ ইঞ্চি বা ১৫.৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনুন। আপনি যদি গেমার বা ছবি ও ভিডিও সম্পাদনার কাজের জন্য ল্যাপটপ চান তবে আপনাকে শক্তিশালী ল্যাপটপ বেছে নিতে হবে। এ জন্য ১৫.৬ বা ১৭ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আপনি যদি সব সময় সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরেন তবে আপনার জন্য ধাতব কাঠামোর ল্যাপটপ যুত্সই হবে। আপনার ল্যাপটপ যদি বাড়ির সকলেই ব্যবহার করে তবে তা ধাতব কাঠামো ও করপোরেট মডেলের হলে ভালো হবে। প্রচলিত প্রায় সব ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের হয়ে থাকে। এতে যত বেশি সেল (৪-১২) থাকবে, ব্যাটারি তত বেশি সময় চার্জ ধরে রাখতে পারবে।
তথ্য ধারণ ক্ষমতা
ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে কতটুকু তথ্য আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখনকার দিনে ১৫.৬ ইঞ্চি ল্যাপটপ ছাড়া অপটিক্যাল ড্রাইভের ব্যবহার কম দেখা যায়। এখন হার্ডড্রাইভের পরিবর্তে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক ড্রাইভ এসএসডিও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্ল্যাশ স্টোরেজ দামি হলেও এর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। এর আকার ছোট এবং কাজ করে দ্রুত।
অপারেটিং সিস্টেম
অনেকেই অল্প কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন না। কিন্তু নিজে থেকে ওএস এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ইনস্টল করুন।
ল্যাপটপের আকার
যদি বাড়ি বা অফিসের জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবেন তবে ল্যাপটপের আকার বড় হওয়া ভালো। এতে চোখের সুবিধা হবে এবং কাজের জন্য সুবিধা পাবেন। যদি কোনো প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনতে হয় তবে তা হালকা-পাতলা ও ছোট স্ক্রিনের হলে ভালো হয়।
ফিচার
ভালো একটি ল্যাপটপে ইনটেল বা এএমডির মাল্টিকোর সিপিইউ থাকলে ভালো। ৩-৪ টি ইউএসবি পোর্ট এবং ল্যাপটপটি দ্রুতগতির কিনা তা দেখে নেওয়া বাঞ্চনীয়। সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য উচ্চ গতির ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এ জন্য প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ গিগাহার্টজ বা এর বেশি হলে ভালো হয়। প্রসেসর কোন সিরিজের (কোর আইথ্রি, ফাইভ, সেভেন) তা জেনে নেওয়াও জরুরি। কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিকস সক্ষমতা কেমন দেখে নেবেন। ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে।
ব্র্যান্ড
পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় সতর্ক থাকুন। ওয়ারেন্টি দেখে নিন। পরিচিত ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও অতীতে তাদের ল্যাপটপ বিক্রির রেকর্ড সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো হবে। কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যা আপনার ল্যাপটপের সঙ্গেই পাচ্ছেন তা বুঝে নেবেন। এ ছাড়া সব সময় অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত মাধ্যম বা দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনুন।