Shop

Before Start

Tech TV

টেক ভিডিও

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কি ও এর প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং হল একটি নতুন কম্পিউটিং প্রযুক্তি যেখানে কোয়ান্টাম মেকানিক্স প্রযোজ্য করে কম্পিউটিং করা হয়। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মূল উদ্দেশ্য হল সমস্যা সমাধান করার দিকে।

ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং যেখানে বিট (bit) ব্যবহৃত হয় সেখানে কোন একটি বিশিষ্ট স্থিতি নির্দেশ করে সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যেখানে কোয়ান্টাম বিট (qubit) ব্যবহৃত হয়, সেখানে বিশিষ্ট স্থিতির সাথে একটি কোন স্থিতি যুক্ত হয়। সাধারণত একটি কোয়ান্টাম বিট সাধারণ বিটের সাথে একটি অতিরিক্ত অবস্থান বিশিষ্ট নির্দেশ করে যা স্থানান্তর কথা বলে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এটি ব্যবহার করে একটি সমস্যার সমাধান করার জন্য বিশাল সংখ্যক সমস্যার সমাধান করার সুযোগ দেয়।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল সুপারপোজিশনিং (superposition)। একটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি সাধারণত বাইনারি সিস্টেমের স্থিতির মতো নয়, বরং একটি সুপারপোজিশন এর মধ্যে থাকে। একটি কোয়ান্টাম বিট স্থিতির স্বাভাবিক উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে কিন্তু কোনও সমস্যা হলে এটি একই সাথে একটি সুপারপোজিশন এও থাকতে পারে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এনট্যাঙ্গলমেন্ট (entanglement)। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর একটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এনট্যাঙ্গলমেন্ট। দুটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি এনট্যাঙ্গল হলে একটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি পরিবর্তিত হলে অপরটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি সরাসরি পরিবর্তিত হবে, সেটা ক্লাসিক্যাল বিট এর সাথে একটি সমস্যার কথা না।

 

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল সুপারপোজিশন (superposition) এবং এনট্যাঙ্গলমেন্ট (entanglement)।

সুপারপোজিশন এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি সাধারণ বাইনারি সিস্টেমের মতো নয়, বরং একটি সুপারপোজিশন এর মধ্যে থাকে। একটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি স্বাভাবিক উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে কিন্তু কোনও সমস্যা হলে এটি একই সাথে একটি সুপারপোজিশন এও থাকতে পারে।

এনট্যাঙ্গলমেন্ট এর মাধ্যমে দুটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি এনট্যাঙ্গল হলে একটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি পরিবর্তিত হলে অপরটি কোয়ান্টাম বিট এর স্থিতি সরাসরি পরিবর্তিত হবে, সেটা ক্লাসিক্যাল বিট এর সাথে একটি সমস্যার কথা না।

 

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল কোয়ান্টাম এরোর করে স্থানান্তর (quantum teleportation)। এটি দুটি এনট্যাঙ্গল কোয়ান্টাম বিটের মধ্যে তথ্য স্থানান্তর করে নেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বারা একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটারে তথ্য স্থানান্তর করা যায় যা দুটি ক্লাসিক্যাল কম্পিউটার দ্বারা সম্ভব নয়।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল কোয়ান্টাম দক্ষতা সমস্যা সমাধান (quantum supremacy)। এটি হল একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার যা ক্লাসিক্যাল কম্পিউটার দ্বারা নির্বিশেষে সমাধান করা যাবার কোনও সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সাধারণত অতিশক্তিশালী ক্লাসিক্যাল কম্পিউটার দ্বারা সমাধান করা অসম্ভব হতে পারে।

 

ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর পার্থক্য

ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মধ্যে পার্থক্য একটি বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সাধারণত ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং সিস্টেমগুলি বাইনারি সিস্টেম হিসেবে কাজ করে যাতে ডাটা 0 এবং 1 এর রূপে স্থানান্তর হয়। এটি একটি সিস্টেমকে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা ব্যবহার করে বাইনারি অবস্থায় রাখে এবং সেটির মাধ্যমে গাণিতিক প্রসেসিং করে।

আরও একটি বিষয় হল ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারে একটি বিশেষ বিট (bit) সর্বোচ্চ একটি স্থানান্তর করতে পারে। এর বিপরীতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিস্টেমগুলি সাধারণত বেশ কিছু কিছু অবস্থানে একত্রিত কোয়ান্টাম বিট (qubit) হিসেবে পরিচিত।

 

ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং একটি লিনিয়ার প্রক্রিয়াকরণ করে যা আবশ্যকভাবে সমস্যা সমাধান করতে একটি সমস্ত সম্ভব স্থানান্তর এবং সমস্ত কম্বিনেশন অবস্থান পরিচালনা করে। এর বিপরীতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং একটি পারালেল প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে, যা স্থানান্তর এবং সমস্ত কম্বিনেশন অবস্থানের সমস্ত সম্ভব সারণিতে চলে যায়।

ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং সিস্টেমগুলি সাধারণত দুটি অবস্থানে থাকে – 0 এবং 1। এর বিপরীতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিস্টেমগুলি সাধারণত অনেকগুলি অবস্থানে থাকে, যা প্রতিনিধিত্ব করা হয় একটি কোয়ান্টাম বিটের মাধ্যমে। ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারে একটি বিশেষ বিট সর্বোচ্চ একটি স্থানান্তর করতে পারে, যেখানে কোয়ান্টাম কম্পিউটারে একটি কোয়ান্টাম বিট অনেকগুলি স্থান ধখল  করে থাকে।

প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোনটি

প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার IBM দ্বারা 2016 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই কম্পিউটারের নাম IBM Quantum Experience ছিল এবং এটি একটি সাধারণ ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রবেশযোগ্য ছিল। এই কম্পিউটারে তিনটি কোয়ান্টাম বিট ছিল এবং প্রতিটি বিট দুটি কিউবিট ব্যবহার করে বানানো হয়েছিল। এই কম্পিউটারে একটি সাধারণ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে গণনা সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এছাড়াও, দুটি অন্যতম প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার হল Google এবং Rigetti Computing দ্বারা তৈরি করা কম্পিউটার। গুগল একটি ৯ কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন এবং Rigetti Computing একটি ১০ কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিভাবে বিশ্বকে বদলে দেবে

কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশ করে নতুন সমস্যার সমাধানে সক্ষম হবে এবং আরও দ্রুত গণনা করতে সক্ষম হবে। ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারে কঠিন এবং বড় সমস্যা সমাধানে বেশ সময় লাগে এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার এই সমস্যার সমাধানে অনেক দ্রুত হবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রথমেই নতুন ধরনের ঔষধ, পদার্থ এবং বহুল সংখ্যক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও কোয়ান্টাম কম্পিউটার পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আলোক ইঞ্জিনিয়ারিং, পরমাণু বিজ্ঞান, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Email

সাইট সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইভ করুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ