আমরা বিজ্ঞানের একটি চরম উন্নতি বাঁচি। আমরা আমাদের জীবনকে আরও সহজ, আরামদায়ক এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম এবং সরঞ্জাম আবিষ্কার করছি। আরও অসামান্য অর্জন অর্জনের জন্য চলমান গবেষণা এবং প্রচেষ্টা চলছে। এর মাধ্যমে আমরা মাঝে মাঝে আমাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতিগুলির প্রাকৃতিক জ্ঞান গ্রহণ করি। সর্বাধিক আলোচনার কিছু বিষয়ে আমি “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে তথ্য শুনতে পারি।
যদিও এই বিষয়টি কম্পিউটারের সাথে সম্পর্কিত, এটি কি এখনও মানুষকে ভাবতে বাধ্য করছে- “সাংস্কৃতিক বুদ্ধি” মানুষের চিন্তাভাবনা এবং আচরণকে প্রতিস্থাপন করবে? কিছু লোক এ সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন, কারণ সেই সময়, অফিস, ব্যবসা, ব্যাংক এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা তৈরি সরঞ্জামগুলি সর্বত্র “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” দখল করবে? মানুষের কি বেকারত্ব আছে? যে কোনও সংস্থা বা সংস্থা লাভ কমাতে এবং আরও মূলধন তৈরি করতে চায়। কারণ একটি মেশিন 20, 5 বা 3 বা হাজার হাজার লোকের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে; সুতরাং, হাজার হাজার মানুষ বেকার হবে। কি ঘটেছে?
কিছু লোক বলে যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। লোকেরা তাদের চাহিদা, সুবিধা এবং সুবিধাগুলি পূরণ করতে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” ব্যবহার করবে। এটি কখনই মানুষের জ্ঞানকে ছাড়িয়ে যাবে না। মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কম্পিউটারটি মানুষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি বুদ্ধিমানভাবে মানুষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, তবে এটি মানুষের চেয়ে দ্রুত এবং আরও সঠিক ছিল। একইভাবে, “ডেন্টাল বন্যা গোয়েন্দা” জনগণের কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হবে এবং জনগণের সাথে প্রতিযোগিতা করবে না। কিছু লোক বলে যে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র এবং বিস্ফোরকগুলি মানব বুদ্ধি দ্বারা তৈরি করা হয়। লোকেরা এটি নিয়ন্ত্রণ করছে However তবে কয়েকটি কারণে যদি লোকেরা বিকৃত হয় বা ভুল করা হয় তবে মেশিনটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা লোকেরা রাগান্বিত হয়, দয়া করে ধ্বংস করুন এবং ধ্বংস করুন তাদের বিরোধীরা। কারণ মানুষ পর্যবেক্ষণ করা হয় না। এটি ট্রিগার টিপানোর আগে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে একশ চেষ্টা করার পরে, লোকেরা আর এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বা আরও ভয়াবহ জিনিসের ক্ষেত্রে, একই জিনিসটি ঘটবে -মানুষকে এ সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করতে। “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” মানব সভ্যতার ক্ষতি করে না? এই বিশ্বে, মানুষ সমাজ, সভ্যতা, বিজ্ঞান এবং অত্যন্ত অসামান্য অর্জন তৈরি করেছে। যদি আজকের মানব বুদ্ধি এই লোকদের অপ্রয়োজনীয় করে তোলে, তবে আমাদের এই বুদ্ধি বা বুদ্ধি কতটা যুক্তিসঙ্গত বা যুক্তিসঙ্গত বা যুক্তিসঙ্গতভাবে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত।
ভোবাস রায়ের সাই -ফাই উপন্যাসগুলিতে আমরা “প্রিজন হাউস” নামে একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী উপন্যাসে দেখতে পাই যে নবনিটা সেনগুপ্ত ষড়ভুজ অ্যাপার্টমেন্টে মাটির নিচে বাস করে। ঘরগুলি দরজা এবং জানালা ছাড়াই চারপাশে লক করা থাকে। সমস্ত ক্রিয়াকলাপ তাদের অ্যাপার্টমেন্টগুলিতে বিভিন্ন ধরণের যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ সেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাঁর ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেসে পড়াশোনা করছিল, এবং ছেলেটি তার মায়ের চরম যান্ত্রিক জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল- “আমি আপনাকে মেশিনের মাধ্যমে দেখতে চাই না I আমি এটি সরাসরি দেখতে চাই।
‘কী বাজে বকছ তুমি?’ ছেলের কথায় নবনীতা সেনগুপ্তা যেন প্রচণ্ড ধাক্কা খেলেন, দুঃখও পেলেন। বিরক্ত হলেন এমন ছেলেমানুষি দেখে। বলতে লাগলেন, ‘তুমি নিশ্চয়ই আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারো না। এ সবই বিজ্ঞানের অবদান। আমরা তার সুফল ভোগ করছি। যান্ত্রিক সভ্যতার সুফল।’
-কিন্তু, মেশিনের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারব না কেন?
কথাগুলো বলতে বলতে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে টিটো নিজেও প্রচণ্ডভাবে প্রতিবাদ করে উঠল—‘যখন তোমার মন খারাপ হয়, মনে কষ্ট হয়, তখন কি তুমি ঈশ্বরকে ছেড়ে মেশিনগুলোকে পূজা করো? ওদের কাছেই আশীর্বাদ প্রার্থনা করো? ভুলে যেও না, এই মেশিনগুলোকে তৈরি করেছে মানুষ। ঈশ্বর নন। মানুষ শক্তিশালী, বুদ্ধিমান এবং মহানও বটে। কিন্তু তবু তারা মানুষই, ঈশ্বর নন। যন্ত্র হয়তো অনেক কিছু করতে পারে, কিন্তু সবকিছু পারে না। এই যে আমার ভিডিও স্ক্রিনে আমি এই মুহূর্তে তোমার মুখের ছবি দেখছি, এটা কি সত্যি তুমি? এটা তো তুমি নও। তোমার ছবি বা প্রতিকৃতিমাত্র। আমি ফোনে তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু আমি সত্যিকার অর্থে তোমার গলা শুনছি না। যান্ত্রিক গতির মধ্য দিয়ে তোমার কৃত্রিম কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি।’
আমরা যখন দেখি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করতে শুরু করেছে, তখন আমরা খুশি না হয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। তখনই মনে হয়, আমরা কি প্রতিস্থাপিত হতে যাচ্ছি তাদের দ্বারা? ‘গো’ নামক কয়েক হাজার বছরের পুরোনো গেমের উদ্ভব হয় চীনে। খেলাটি অনেকটা আমাদের দেশের ষোলোঘুঁটি খেলার মতো। উদ্দেশ্য থাকে প্রতিপক্ষের ঘুঁটি আটকে রেখে বোর্ডের দখল নেওয়া। যে বোর্ডের অর্ধেকের বেশি এলাকা দখল করতে পারবে, সে-ই বিজয়ী। ‘গো’ খেলার জন্য গুগল ডিপমাইন্ড ‘আলফা-গো’ কম্পিউটার প্রোগ্রামটি তৈরি করেছে। এটি অ্যালগারিদম মেশিন লার্নিং ও ট্রি সার্চিং প্রযুক্তির সমন্বয়ে করা হয়েছে। এতে পলিসি ও ভ্যালু নেটওয়ার্ক হিসেবে দুটি নিউরাল নেটওয়ার্ক আছে। পলিসি নেটওয়ার্কটি সম্ভাব্য সেবার চাল দ্রুত হিসাব করতে পারে এবং ভ্যালু নেটওয়ার্ক প্রতিটি চালের শুরুতে অপ্রয়োজনীয় চালগুলে বাদ দিয়ে সম্ভাব্য চালের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে মানুষের এই অপ্রয়োজনীয় চাল বাদ দেওয়ার সক্ষমতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে অবশেষে ভাগ বসাল আলফাগো। আলফাগোর প্রাথমিক পর্যায়ে এক ভিন্ন এক্সপার্ট গেমেও ঐতিহাসিক গেমের চালগুলো মনে রাখতে বলা হয়েছিল। ৩০ মিলিয়ন চালের একটি ডাটাবেস থেকে পরে একটি নির্ধারিত পর্যায়ের দক্ষতা অর্জনের পর রি-ইনফোর্সমেন্ট লার্নিংয়ের সাহায্যে আলফা-গোর সক্ষমতা এমনভাবে বৃদ্ধি করা হয় যে এটি নিজে নিজে খেলার দক্ষতা অর্জন করে। আলফাগো বনাম লি সেডলের গুগল ডিপমাইন্ড চ্যালেঞ্জ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। মজার বিষয় ছিল, আলফাগোর ক্ষমতা যাচাই করার জন্য বেশ বড়সড় একটি ভুল করে বসেন লি সেডল, যিনি ১৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী পেশাদার গো খেলোয়াড়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুগল ডিপমাইন্ড চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছিল আলফাগো। ম্যাচ শেষে দক্ষিণ কোরিয়া গো অ্যাসোসিয়েশন আলফাগোকে ‘গো গ্র্যান্ডমাস্টার’ পদবি প্রদান করে।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজতর করতেই রোবট, মেশিন বা ড্রোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু যেমনটা সিনেমায় দেখা যায়, মানুষের কাজের সুযোগ কমিয়ে দিয়ে বেকারত্ব ডেকে আনতে পারে এর ব্যবহার। ফলে কাজ হারানো মানুষের বিষণ্নতা, অবসাদে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য সৃষ্টি হবে। এর শুরুটা দেখতে হলে যেতে হবে ১৯৫৬ সালে। ডর্টমুথ কলেজের একদল গবেষক দেখতে চেয়েছিলেন, যন্ত্রপাতি মানুষের মাতোই কাজ করতে ও সাড়া দিতে পারে কি না। তারা ধরে নিয়েছিলেন, যন্ত্রকে সঠিক নির্দেশ দিতে পারলে তারা মানুষের মতোই যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে। আর এ থেকেই এসেছে আজকের অ্যাপলের সিরি, কিনিট, আইবিএমের ওয়াসন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বের প্রথম বায়োনিক মানুষ রেক্স আবিষ্কৃত হয়। কৃত্রিম অঙ্গ, রক্ত ও রোটিক হাত-পা আছে এর। রেক্স হাঁটতে পারে, শুনতে পায় এবং বুদ্ধিমত্তাসহকারে কথোপকথন চালাতে পারে। সম্ভবত এসব ধারণা থেকেই আজকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি চলে এসেছে।